# প্রাচীন ভারতের ইতিহাস: পল্লবদের শিল্প ও স্থাপত্য - Quick Revision Note **ভূমিকা:** পল্লবরা (আনুমানিক ৬ষ্ঠ শতক - ৯ম শতক) দক্ষিণ ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তাদের শাসনকালে শিল্প ও স্থাপত্যের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছিল, যা পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তাদের শিল্পকর্ম মূলত দ্রাবিড় স্থাপত্যশৈলীর প্রাথমিক নিদর্শন। **১. পল্লব স্থাপত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য:** * **শিলা কেটে তৈরি স্থাপত্য (Rock-cut Architecture):** প্রাথমিক পর্যায়ে পল্লবরা একক শিলা কেটে মন্দির নির্মাণে পারদর্শী ছিল। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল মহাবলীপুরমের রথ মন্দিরগুলি। * **স্তম্ভযুক্ত মণ্ডপ (Mandapas with Pillars):** মণ্ডপগুলি ছিল খোলা স্তম্ভযুক্ত হল, যার দেওয়ালে পৌরাণিক কাহিনীর চিত্র খোদিত থাকত। * **একশিলা রথ (Monolithic Rathas):** একটিমাত্র বিশাল পাথর কেটে তৈরি মন্দির বা রথগুলি পল্লব স্থাপত্যের এক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এগুলি কোনো প্রকৃত মন্দির ছিল না, বরং স্থাপত্যের মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হত। * **গঠনমূলক মন্দির (Structural Temples):** পরবর্তীকালে পল্লবরা ইট ও মর্টার ব্যবহার করে স্বতন্ত্র মন্দির নির্মাণ শুরু করে। কাঞ্চিপুরমের কৈলাসনাথ মন্দির এবং মামল্লাপুরমের উপকূল মন্দির এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। * **ভাস্কর্য ও অলঙ্করণ (Sculptures and Ornamentation):** পল্লব ভাস্কর্য জীবন্ত এবং গতিশীল ছিল। দেব-দেবী, পৌরাণিক চরিত্র এবং দৈনন্দিন জীবনের দৃশ্য তাদের ভাস্কর্যে স্থান পেত। সিংহ ছিল পল্লব স্থাপত্যের একটি সাধারণ মোটিফ। **২. পল্লব স্থাপত্যের পর্যায়ক্রম:** পল্লব স্থাপত্যকে প্রধানত চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়, যা বিভিন্ন রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় বিকশিত হয়েছিল: * **মহেন্দ্রবর্মণ শৈলী (Mahindravarman Style) - (আনুমানিক ৬১০-৬৪০ খ্রিস্টাব্দ):** * এই সময়ের স্থাপত্যগুলি ছিল মূলত শিলা কেটে তৈরি মণ্ডপ বা গুহা মন্দির। * উদাহরণ: মণ্ডগপট্টু, সিয়ামঙ্গলম, বল্লম, তিরুচিরপল্লী, মহেন্দ্রওয়াড়ি। * স্তম্ভগুলি সরল এবং ভারী ছিল। * **মামল্ল শৈলী (Mamalla Style) - (আনুমানিক ৬৪০-৬৯০ খ্রিস্টাব্দ) - নরসিংহবর্মণ প্রথম:** * এই সময়ে শিলা কেটে রথ ও মণ্ডপ নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ হয়। * মহাবলীপুরম বা মামল্লাপুরম এই সময়ের স্থাপত্যের কেন্দ্রবিন্দু। * উদাহরণ: পঞ্চরথ (ধর্মরাজ রথ, ভীম রথ, অর্জুন রথ, দ্রৌপদী রথ, সহদেব রথ), অর্জুনের তপস্যা বা গঙ্গা অবতরণ (বৃহৎ শিলা ভাস্কর্য)। * রথগুলি ছিল একশিলা মন্দির, যা কাঠামোগত মন্দিরের মডেল হিসেবে কাজ করত। * **রাজসিংহ শৈলী (Rajasimha Style) - (আনুমানিক ৬৯০-৮০০ খ্রিস্টাব্দ) - নরসিংহবর্মণ দ্বিতীয় (রাজসিংহ):** * এই সময় থেকে কাঠামোগত মন্দির নির্মাণ শুরু হয়। * উদাহরণ: কাঞ্চিপুরমের কৈলাসনাথ মন্দির, মামল্লাপুরমের উপকূল মন্দির (Shore Temple)। * এই মন্দিরগুলিতে শিখর, মণ্ডপ এবং অলঙ্কৃত স্তম্ভের ব্যবহার দেখা যায়। * **নন্দীবর্মণ শৈলী (Nandivarman Style) - (আনুমানিক ৮০০-৯০০ খ্রিস্টাব্দ):** * এই সময়ে নির্মিত মন্দিরগুলি তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল। * উদাহরণ: কাঞ্চিপুরমের বৈকুণ্ঠ পেরুমল মন্দির। * পূর্ববর্তী শৈলীর বৈশিষ্ট্যগুলির সংমিশ্রণ দেখা যায়। **৩. পল্লব চিত্রশিল্প (Pallava Painting):** * পল্লবদের সময়ে চিত্রকলারও বিকাশ ঘটেছিল, যদিও এর নিদর্শন খুব কমই পাওয়া যায়। * মহেন্দ্রবর্মণের আঁকা কিছু ম্যুরাল সিতাম্নাবাসাল গুহায় পাওয়া গেছে। * এগুলি মূলত ফ্রেস্কো পদ্ধতিতে আঁকা ছিল এবং অজন্তা-এলোরার চিত্রকলার সাথে এর সাদৃশ্য দেখা যায়। **৪. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য / পরীক্ষার জন্য প্রাসঙ্গিক ধারণা:** * **দ্রাবিড় স্থাপত্যের ভিত্তি:** পল্লব স্থাপত্যকে দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড় স্থাপত্যের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। * **মহাবলীপুরম:** এটি পল্লব স্থাপত্যের একটি জীবন্ত জাদুঘর। এর রথ মন্দির এবং উপকূল মন্দির ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। * **কাঞ্চিপুরম:** পল্লবদের রাজধানী ছিল এবং এখানে বহু গুরুত্বপূর্ণ মন্দির রয়েছে। * **"সপ্ত প্যাগোডা"**: মহাবলীপুরমের পঞ্চরথকে অনেক সময় এই নামেও অভিহিত করা হয়। * **মামল্লপুরম নাম:** পল্লব রাজা নরসিংহবর্মণ প্রথম 'মামল্ল' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন এবং তার নামানুসারে মহাবলীপুরমকে মামল্লপুরমও বলা হয়। * **কৈলাসনাথ মন্দির:** এটি রাজসিংহ শৈলীর সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ এবং এটি চালুক্যদের বিরূপাক্ষ মন্দিরের অনুপ্রেরণা ছিল। * **সিতাম্নাবাসাল:** পল্লব চিত্রশিল্পের একমাত্র উল্লেখযোগ্য নিদর্শন এখানে পাওয়া গেছে। --- **২০টি উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন (এক শব্দ/এক বাক্য উত্তর) এবং উত্তর:** ১. পল্লব স্থাপত্যের প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মিত গুহা মন্দিরগুলিকে কী বলা হত? উত্তর: মণ্ডপ। ২. মহাবলীপুরমের রথ মন্দিরগুলি কোন রাজার সময় নির্মিত হয়েছিল? উত্তর: নরসিংহবর্মণ প্রথম (মামল্ল)। ৩. একটিমাত্র পাথর কেটে তৈরি মন্দিরগুলিকে কী বলা হয়? উত্তর: একশিলা রথ। ৪. পল্লবদের কাঠামোগত মন্দিরের প্রথম উদাহরণ কোনটি? উত্তর: কাঞ্চিপুরমের কৈলাসনাথ মন্দির। ৫. রাজসিংহ শৈলীতে নির্মিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরের নাম লেখো। উত্তর: কৈলাসনাথ মন্দির (কাঞ্চিপুরম) এবং উপকূল মন্দির (মামল্লাপুরম)। ৬. মামল্লপুরমের 'অর্জুনের তপস্যা' কীসের উদাহরণ? উত্তর: বৃহৎ শিলা ভাস্কর্য। ৭. পল্লবদের রাজধানী কোথায় ছিল? উত্তর: কাঞ্চিপুরম। ৮. কোন পল্লব রাজা 'মামল্ল' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন? উত্তর: নরসিংহবর্মণ প্রথম। ৯. পল্লব স্থাপত্যে কোন প্রাণীর মোটিফ বা ভাস্কর্য বিশেষভাবে দেখা যায়? উত্তর: সিংহ। ১০. পল্লব চিত্রশিল্পের একমাত্র উল্লেখযোগ্য নিদর্শন কোথায় পাওয়া যায়? উত্তর: সিতাম্নাবাসাল। ১১. পঞ্চরথ মন্দিরগুলি কোথায় অবস্থিত? উত্তর: মহাবলীপুরম। ১২. কোন পল্লব রাজা মহেন্দ্রবর্মণ শৈলীর পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন? উত্তর: মহেন্দ্রবর্মণ প্রথম। ১৩. মহাবলীপুরমের উপকূল মন্দির কোন শৈলীর অন্তর্গত? উত্তর: রাজসিংহ শৈলী। ১৪. পল্লব স্থাপত্যকে দক্ষিণ ভারতের কোন স্থাপত্যশৈলীর ভিত্তিপ্রস্তর বলা হয়? উত্তর: দ্রাবিড় স্থাপত্যশৈলী। ১৫. কোন পল্লব রাজা নরসিংহবর্মণ দ্বিতীয় নামে পরিচিত ছিলেন? উত্তর: রাজসিংহ। ১৬. কাঞ্চিপুরমের বৈকুণ্ঠ পেরুমল মন্দির কোন শৈলীর উদাহরণ? উত্তর: নন্দীবর্মণ শৈলী। ১৭. পল্লব ভাস্কর্যে কীসের চিত্র বেশি দেখা যেত? উত্তর: দেব-দেবী, পৌরাণিক চরিত্র এবং দৈনন্দিন জীবনের দৃশ্য। ১৮. মহাবলীপুরমের রথ মন্দিরগুলি কি আসলে পূজা করার জন্য ব্যবহৃত হত? উত্তর: না, এগুলি স্থাপত্যের মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৯. পল্লব শিল্পীরা কোন পদ্ধতিতে চিত্র অঙ্কন করতেন? উত্তর: ফ্রেস্কো পদ্ধতি। ২০. "সপ্ত প্যাগোডা" নামে পরিচিত মন্দিরগুলি কোন স্থানে অবস্থিত? উত্তর: মহাবলীপুরম। --- *Last updated: 1/8/2025*
# প্রাচীন ভারতের ইতিহাস: পল্লবদের শিল্প ও স্থাপত্য - Quick Revision Note **ভূমিকা:** পল্লবরা (আনুমানিক ৬ষ্ঠ শতক - ৯ম শতক) দক্ষিণ ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তাদের শাসনকালে শিল্প ও স্থাপত্যের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছিল, যা পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তাদের শিল্পকর্ম মূলত দ্রাবিড় স্থাপত্যশৈলীর প্রাথমিক নিদর্শন। **১. পল্লব স্থাপত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য:** * **শিলা কেটে তৈরি স্থাপত্য (Rock-cut Architecture):** প্রাথমিক পর্যায়ে পল্লবরা একক শিলা কেটে মন্দির নির্মাণে পারদর্শী ছিল। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল মহাবলীপুরমের রথ মন্দিরগুলি। * **স্তম্ভযুক্ত মণ্ডপ (Mandapas with Pillars):** মণ্ডপগুলি ছিল খোলা স্তম্ভযুক্ত হল, যার দেওয়ালে পৌরাণিক কাহিনীর চিত্র খোদিত থাকত। * **একশিলা রথ (Monolithic Rathas):** একটিমাত্র বিশাল পাথর কেটে তৈরি মন্দির বা রথগুলি পল্লব স্থাপত্যের এক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এগুলি কোনো প্রকৃত মন্দির ছিল না, বরং স্থাপত্যের মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হত। * **গঠনমূলক মন্দির (Structural Temples):** পরবর্তীকালে পল্লবরা ইট ও মর্টার ব্যবহার করে স্বতন্ত্র মন্দির নির্মাণ শুরু করে। কাঞ্চিপুরমের কৈলাসনাথ মন্দির এবং মামল্লাপুরমের উপকূল মন্দির এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। * **ভাস্কর্য ও অলঙ্করণ (Sculptures and Ornamentation):** পল্লব ভাস্কর্য জীবন্ত এবং গতিশীল ছিল। দেব-দেবী, পৌরাণিক চরিত্র এবং দৈনন্দিন জীবনের দৃশ্য তাদের ভাস্কর্যে স্থান পেত। সিংহ ছিল পল্লব স্থাপত্যের একটি সাধারণ মোটিফ। **২. পল্লব স্থাপত্যের পর্যায়ক্রম:** পল্লব স্থাপত্যকে প্রধানত চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়, যা বিভিন্ন রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় বিকশিত হয়েছিল: * **মহেন্দ্রবর্মণ শৈলী (Mahindravarman Style) - (আনুমানিক ৬১০-৬৪০ খ্রিস্টাব্দ):** * এই সময়ের স্থাপত্যগুলি ছিল মূলত শিলা কেটে তৈরি মণ্ডপ বা গুহা মন্দির। * উদাহরণ: মণ্ডগপট্টু, সিয়ামঙ্গলম, বল্লম, তিরুচিরপল্লী, মহেন্দ্রওয়াড়ি। * স্তম্ভগুলি সরল এবং ভারী ছিল। * **মামল্ল শৈলী (Mamalla Style) - (আনুমানিক ৬৪০-৬৯০ খ্রিস্টাব্দ) - নরসিংহবর্মণ প্রথম:** * এই সময়ে শিলা কেটে রথ ও মণ্ডপ নির্মাণে নতুন মাত্রা যোগ হয়। * মহাবলীপুরম বা মামল্লাপুরম এই সময়ের স্থাপত্যের কেন্দ্রবিন্দু। * উদাহরণ: পঞ্চরথ (ধর্মরাজ রথ, ভীম রথ, অর্জুন রথ, দ্রৌপদী রথ, সহদেব রথ), অর্জুনের তপস্যা বা গঙ্গা অবতরণ (বৃহৎ শিলা ভাস্কর্য)। * রথগুলি ছিল একশিলা মন্দির, যা কাঠামোগত মন্দিরের মডেল হিসেবে কাজ করত। * **রাজসিংহ শৈলী (Rajasimha Style) - (আনুমানিক ৬৯০-৮০০ খ্রিস্টাব্দ) - নরসিংহবর্মণ দ্বিতীয় (রাজসিংহ):** * এই সময় থেকে কাঠামোগত মন্দির নির্মাণ শুরু হয়। * উদাহরণ: কাঞ্চিপুরমের কৈলাসনাথ মন্দির, মামল্লাপুরমের উপকূল মন্দির (Shore Temple)। * এই মন্দিরগুলিতে শিখর, মণ্ডপ এবং অলঙ্কৃত স্তম্ভের ব্যবহার দেখা যায়। * **নন্দীবর্মণ শৈলী (Nandivarman Style) - (আনুমানিক ৮০০-৯০০ খ্রিস্টাব্দ):** * এই সময়ে নির্মিত মন্দিরগুলি তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল। * উদাহরণ: কাঞ্চিপুরমের বৈকুণ্ঠ পেরুমল মন্দির। * পূর্ববর্তী শৈলীর বৈশিষ্ট্যগুলির সংমিশ্রণ দেখা যায়। **৩. পল্লব চিত্রশিল্প (Pallava Painting):** * পল্লবদের সময়ে চিত্রকলারও বিকাশ ঘটেছিল, যদিও এর নিদর্শন খুব কমই পাওয়া যায়। * মহেন্দ্রবর্মণের আঁকা কিছু ম্যুরাল সিতাম্নাবাসাল গুহায় পাওয়া গেছে। * এগুলি মূলত ফ্রেস্কো পদ্ধতিতে আঁকা ছিল এবং অজন্তা-এলোরার চিত্রকলার সাথে এর সাদৃশ্য দেখা যায়। **৪. গুরুত্বপূর্ণ তথ্য / পরীক্ষার জন্য প্রাসঙ্গিক ধারণা:** * **দ্রাবিড় স্থাপত্যের ভিত্তি:** পল্লব স্থাপত্যকে দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড় স্থাপত্যের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। * **মহাবলীপুরম:** এটি পল্লব স্থাপত্যের একটি জীবন্ত জাদুঘর। এর রথ মন্দির এবং উপকূল মন্দির ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। * **কাঞ্চিপুরম:** পল্লবদের রাজধানী ছিল এবং এখানে বহু গুরুত্বপূর্ণ মন্দির রয়েছে। * **"সপ্ত প্যাগোডা"**: মহাবলীপুরমের পঞ্চরথকে অনেক সময় এই নামেও অভিহিত করা হয়। * **মামল্লপুরম নাম:** পল্লব রাজা নরসিংহবর্মণ প্রথম 'মামল্ল' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন এবং তার নামানুসারে মহাবলীপুরমকে মামল্লপুরমও বলা হয়। * **কৈলাসনাথ মন্দির:** এটি রাজসিংহ শৈলীর সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ এবং এটি চালুক্যদের বিরূপাক্ষ মন্দিরের অনুপ্রেরণা ছিল। * **সিতাম্নাবাসাল:** পল্লব চিত্রশিল্পের একমাত্র উল্লেখযোগ্য নিদর্শন এখানে পাওয়া গেছে। --- **২০টি উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন (এক শব্দ/এক বাক্য উত্তর) এবং উত্তর:** ১. পল্লব স্থাপত্যের প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মিত গুহা মন্দিরগুলিকে কী বলা হত? উত্তর: মণ্ডপ। ২. মহাবলীপুরমের রথ মন্দিরগুলি কোন রাজার সময় নির্মিত হয়েছিল? উত্তর: নরসিংহবর্মণ প্রথম (মামল্ল)। ৩. একটিমাত্র পাথর কেটে তৈরি মন্দিরগুলিকে কী বলা হয়? উত্তর: একশিলা রথ। ৪. পল্লবদের কাঠামোগত মন্দিরের প্রথম উদাহরণ কোনটি? উত্তর: কাঞ্চিপুরমের কৈলাসনাথ মন্দির। ৫. রাজসিংহ শৈলীতে নির্মিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরের নাম লেখো। উত্তর: কৈলাসনাথ মন্দির (কাঞ্চিপুরম) এবং উপকূল মন্দির (মামল্লাপুরম)। ৬. মামল্লপুরমের 'অর্জুনের তপস্যা' কীসের উদাহরণ? উত্তর: বৃহৎ শিলা ভাস্কর্য। ৭. পল্লবদের রাজধানী কোথায় ছিল? উত্তর: কাঞ্চিপুরম। ৮. কোন পল্লব রাজা 'মামল্ল' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন? উত্তর: নরসিংহবর্মণ প্রথম। ৯. পল্লব স্থাপত্যে কোন প্রাণীর মোটিফ বা ভাস্কর্য বিশেষভাবে দেখা যায়? উত্তর: সিংহ। ১০. পল্লব চিত্রশিল্পের একমাত্র উল্লেখযোগ্য নিদর্শন কোথায় পাওয়া যায়? উত্তর: সিতাম্নাবাসাল। ১১. পঞ্চরথ মন্দিরগুলি কোথায় অবস্থিত? উত্তর: মহাবলীপুরম। ১২. কোন পল্লব রাজা মহেন্দ্রবর্মণ শৈলীর পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন? উত্তর: মহেন্দ্রবর্মণ প্রথম। ১৩. মহাবলীপুরমের উপকূল মন্দির কোন শৈলীর অন্তর্গত? উত্তর: রাজসিংহ শৈলী। ১৪. পল্লব স্থাপত্যকে দক্ষিণ ভারতের কোন স্থাপত্যশৈলীর ভিত্তিপ্রস্তর বলা হয়? উত্তর: দ্রাবিড় স্থাপত্যশৈলী। ১৫. কোন পল্লব রাজা নরসিংহবর্মণ দ্বিতীয় নামে পরিচিত ছিলেন? উত্তর: রাজসিংহ। ১৬. কাঞ্চিপুরমের বৈকুণ্ঠ পেরুমল মন্দির কোন শৈলীর উদাহরণ? উত্তর: নন্দীবর্মণ শৈলী। ১৭. পল্লব ভাস্কর্যে কীসের চিত্র বেশি দেখা যেত? উত্তর: দেব-দেবী, পৌরাণিক চরিত্র এবং দৈনন্দিন জীবনের দৃশ্য। ১৮. মহাবলীপুরমের রথ মন্দিরগুলি কি আসলে পূজা করার জন্য ব্যবহৃত হত? উত্তর: না, এগুলি স্থাপত্যের মডেল হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৯. পল্লব শিল্পীরা কোন পদ্ধতিতে চিত্র অঙ্কন করতেন? উত্তর: ফ্রেস্কো পদ্ধতি। ২০. "সপ্ত প্যাগোডা" নামে পরিচিত মন্দিরগুলি কোন স্থানে অবস্থিত? উত্তর: মহাবলীপুরম। --- *Last updated: 1/8/2025*